করিমপুরে পারিবারিক বিরোধে আত্মহত্যা, চেয়ারম্যানের চোখে জল।

করিমপুরে পারিবারিক বিরোধে আত্মহত্যা, চেয়ারম্যানের চোখে জল। 

করিমপুরে পারিবারিক বিরোধে আত্মহত্যা, চেয়ারম্যানের চোখে জল।

আজ বুধবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক হৃদয়বিদারক ঘটনার বিবরণ প্রকাশ করেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান। তিনি জানান, করিমপুর গ্রামে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে আব্দুল্লা ওরফে পাখি মিয়া (৪৫) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
চেয়ারম্যান সাহেবের ফেসবুক পোস্ট অনুযায়ী, ভোরবেলা হঠাৎ মোবাইল ফোনটি বেজে ওঠে। অপর প্রান্ত থেকে একজন বলেন, "চেয়ারম্যান সাহেব, আমি করিমপুর থেকে বলছি—আব্দুল্লা আত্মহত্যা করেছেন, আপনি একটু আসেন।" তিনি সঙ্গে সঙ্গে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করেন এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সঙ্গে ছিলেন ওয়ার্ডের মেম্বার, গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, লাশটি ঘরের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। পুলিশ আইনানুগ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সুরতহাল, ময়নাতদন্ত ও মেডিকেল স্টেটমেন্টের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। চেয়ারম্যান বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে পাখি মিয়াকে চিনতাম। ভাই-ভাইয়ের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ ছিল। ইউনিয়ন পরিষদ একাধিকবার সালিশ বৈঠক করলেও সমাধান হয়নি। "তিনি আবেগ ভরে আরও লেখেন" লাশটি নামাতে গিয়ে মৃত ব্যক্তির ভাই, বোন, ভাতিজাদের কাছ থেকে বিন্দুমাত্র কোনো সহযোগিতা পাইনি। এমনকি লাশ ঢাকার জন্য একটি বিছানার চাদর পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।"
করিমপুরে পারিবারিক বিরোধে আত্মহত্যা, চেয়ারম্যানের চোখে জল।
তিনি বলেন,"পরবর্তীতে আমি নিজ উদ্যোগে লাশবাহী গাড়ি, কাপড় ও অন্যান্য খরচের ব্যবস্থা করি।"চেয়ারম্যান সাহেব ধন্যবাদ জানান কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও বিট পুলিশ কর্মকর্তা এসআই রনি ভাইকে, যারা ফোন পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং ব্যবস্থা নেন। "সমাজে পারিবারিক ও সামাজিক ঝামেলা থাকবেই। কিন্তু ভাইয়ের মৃত্যুতে যদি ভাইরাও পাশে না দাঁড়ায়—তবে সেটা আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রশ্ন তোলে। আসুন, পারিবারিক দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে পারিবারিক বন্ধন ও মানবিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করি।" "আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর সমাজ গড়ি—যেখানে থাকবে সহানুভূতি, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। সুস্থ ও নিরাপদ থাকুক আমার প্রিয় ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষ।"
নবীনতর পূর্বতন